"ছোটো চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুশাক" রেসিপি।(Small Shrimp Fish With Taro Leaves Carry Recipe In Bengali):
নমস্কার বন্ধুরা। কেমন আছেন সবাই? রান্না গুঞ্জন সকলকে স্বাগত জানিয়ে আজকের রেসিপি শুরু করছি। আজ আমি শেয়ার করবো "ছোটো চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুশাক" রেসিপি। নিরামিষ হোক বা আমিষ, কচুশাকের যেকোনো রেসিপি আমরা বাঙালিরা বরাবরই ভালো বাসি। আজ আমি "ছোটো চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুশাক" রান্না দেখাবো, তবে ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে অথবা নারকেল কোরা ও ছোলা দিয়েও এই রেসিপিটি দারুণ লাগে। যারা রক্তশুন্যতায় ভোগেন তাদের জন্য কচুশাক খুবই উপকারী। কচুশাক আমাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি পুরণ করে এবং রক্ত পরিষ্কার রাখে। তাহলে চলুন দেখে নিন পুষ্টিগুণে ভরপুর ও সুস্বাদু এই রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করছি।
"ছোটো চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুশাক" রেসিপি।(Small Shrimp Fish With Taro Leaves Carry Recipe In Bengali):
দেখে নিন "ছোটো চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুশাক" রেসিপির জন্য আমাদের কী কী উপকরণ লাগছে:
- কচুশাক - ২ আঁটি
- ছোটো চিংড়ি মাছ - ২০০ গ্রাম
- সাদা/কালো সরষে বাটা - ২ চা চামচ
- পোস্ত বাটা - ২ চা চামচ
- কাঁচা লঙ্কা বাটা - ৪-৫ টি
- নারকেল কোরা - ৩ টেবিল চামচ
- হলুদ গুড়ো - ১ চা চামচ
- পাঁচফোড়ন - ১/২ চা চামচ
- শুকনো লঙ্কা - ২ টি
- তেজপাতা - ২ টি
- সরষের তেল - ৩ টেবিল চামচ
- চিনি - ১ চা চামচ
- লবন - স্বাদমতো
আরও পড়ুন:👉বড়ো চিংড়ি মাছ দিয়ে আলুর ডালনা" রেসিপি।
এবার দেখে নেবো রান্নার প্রণালী:
১. প্রথমে কচুশাক ও চিংড়ি মাছ পরিষ্কার করে কেটে ধুয়ে রাখুন। মাছে লবন-হলুদ মাখিয়ে রাখুন। একটি পাত্রে অল্প জল দিয়ে কচুশাক সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে রাখুন।
২. এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে মাছ ভেজে তুলে নিন। ওই তেলে পাঁচফোড়ন, শুকনো লঙ্কা ও তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে নারকেল কোরা অল্প ভেজে নিন। নারকেল ভাজা হয়ে এলে এরমধ্যে সেদ্ধ করে রাখা কচুশাক, হলুদ গুড়ো ও অল্প লবন দিয়ে বেশ কিছু সময় কষিয়ে নিন।
৩. নাড়তে নাড়তে কচুশাকের মোটামুটি জল শুকিয়ে এলে সরষে-পোস্ত-কাঁচালঙ্কা বাটা ও ভাজা চিংড়ি মাছ দিয়ে আরও কিছু সময় কষিয়ে নিন। সবশেষে ১ চা চামচ চিনি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নামিয়ে নিন।
গরম ভাতের সাথে জাস্ট ফাটাফাটি লাগে এই "ছোটো চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুশাক" রেসিপি।
আরও পড়ুন:👉ছোটো চিংড়ি মাছ দিয়ে পালং শাকের ঘন্ট" রেসিপি।
এবার দেখে নিন "ছোটো চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুশাক" রেসিপির কিছু প্রয়োজনীয় টিপস:
১. এই রেসিপির জন্য কচুশাক সেদ্ধ করতে ও রান্না করতে আলাদা করে জলের প্রয়োজন নেই কারণ কচুশাক থেকে প্রচুর জল বের হয়।
২. চিংড়ি মাছ পরিষ্কার করার সময় অবশ্যই পিঠের ওপর দিকে কালো সুতোর মতো ময়লাটা বের করে ফেলে দেবেন।
৩. চিংড়ি মাছের সাইজ নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন। তবে খুব বেশি বড়ো সাইজ না হলেই ভালো হয়।
৪. তেল ও ঝালের পরিমান নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী বাড়িয়ে বা কমিয়ে নেবেন।
দেখে নিন "কচুশাক ও চিংড়ি মাছের" কী কী উপকারিতা রয়েছে:
১. কচুশাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, সি, ই থাকে। পাশাপাশি আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২. চিংড়ি মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমান প্রোটিন, ভিটামিন বি-১২, আয়রন, আয়োডিন, জিঙ্ক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সেলেনিয়াম যা আমাদের শরীর গঠন করে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক ও চুল ভালো রাখে।

