"ভোলা মাছের ঝাল" রেসিপি(সরষে বাটা ও বেগুন দিয়ে।(Vola Fish Carry Recipe In Bengali):
নমস্কার বন্ধুরা। আশাকরি সকলে খুব ভালো আছেন? রান্না গুঞ্জনে আরও একটি নতুন রেসিপি নিয়ে আমি হাজির হয়েছি আপনাদের কাছে। আজ আমি শেয়ার করব "ভোলা মাছের ঝাল" রেসিপি বেগুন ও সরষে বাটা দিয়ে। এই শীতের সময়ে বাজারে খুব ভালো ভোলা মাছ পাওয়া যায়। একদিন বাড়িতে ভোলা মাছ কিনে এনে এভাবে একবার সরষে বাটা ও বেগুন দিয়ে ঝাল বানিয়ে ফেলুন। শীতের দুপুরে গরম ভাতের সাথে অসাধারণ লাগে এই "ভোলা মাছের ঝাল" রেসিপি। শুনে কার কার জিভে জল চলে এলো? আমার তো খুবই ভালো লাগে এই রেসিপিটি। তাহলে আর দেরি না করে চলুন রেসিপিটি শুরু করি।
"ভোলা মাছের ঝাল" রেসিপি(সরষে বাটা ও বেগুন দিয়ে।(Vola Fish Carry Recipe In Bengali):
"ভোলা মাছের ঝাল" রেসিপি তৈরি করতে প্রয়োজনীয় উপকরণ:
- ভোলা মাছ - ৩০০ গ্রাম
- বেগুন - ১ টা মাঝারি সাইজের
- পেঁয়াজ কুচি - ১ টা বড়ো সাইজের
- কালো সরষে বাটা - ১ চা চামচ
- সাদা সরষে বাটা - ১ চা চামচ
- কাঁচা লঙ্কা বাটা - ৪-৫ টি
- হলুদ গুড়ো - ১ চা চামচ
- লঙ্কা গুড়ো - ১/৩ চা চামচ
- জিরে গুড়ো - ১/২ চা চামচ
- কালো জিরে - ১/৩ চা চামচ
- শুকনো লঙ্কা - ২ টি
- সরষের তেল - পরিমান মতো
- চিনি - ১/৪ চা চামচ (স্বাদ ব্যালেন্সের জন্য)
- লবন - স্বাদমতো
- ধনেপাতা কুচি - এক মুঠো
আরও পড়ুন: 👉টক-ঝাল স্বাদের "আম কাসুন্দি কাতলা" রেসিপি
এবার দেখে নিন রান্নার প্রস্তুতি পর্ব:
১. প্রথমে মাছ ও বেগুন ধুয়ে সামান্য লবন, হলুদ ও লঙ্কা গুড়ো মাখিয়ে রেখে দিন ১০ মিনিট। এবার পরিমান মতো কড়াইয়ে তেল গরম করে মাছ ও বেগুন ভেজে তুলে রাখুন। কড়াইয়ে তেল না থাকলে ২ টেবিল চামচ তেল দিয়ে তাতে কালোজিরে ও শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিন।
২. পেঁয়াজ একটু ভাজা হলে এরমধ্যে কালো ও সাদা সরষে বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা, ১/২ চা চামচ হলুদ গুড়ো সামান্য জলে গুলে দিয়ে দিন। স্বাদমতো লবন ও চিনি দিয়ে মশলা ভালোভাবে কষিয়ে নিন।
৩. মশলা ভালো ভাবে কষে এলে এরমধ্যে ঝোলের জন্য দেড় কাপ গরম জল দিন। ঝোল ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছ ও বেগুন দিয়ে ৫-৭ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করুন। সবশেষে লবন চেক করে নিন এবং ধনেপাতা কুচি, চেরা কাঁচা লঙ্কা ও সামান্য কাঁচা সরষের তেল ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন "ভোলা মাছের ঝাল" রেসিপি।
আরও পড়ুন:👉ভোলা মাছের ঝাল" রেসিপি।
"ভোলা মাছের ঝাল" রেসিপির প্রয়োজনীয় টিপস:
১. সরষে বাটা দিয়ে "ভোলা মাছের ঝাল" রেসিপিতে অল্প পেঁয়াজ ব্যবহার করলে স্বাদ বেশি ভালো হয়।
২. এই রেসিপিতে কাঁচা লঙ্কার সাথে অল্প লঙ্কার গুড়ো ব্যবহার করতে পারেন।
৩. এই রেসিপিটি বেগুন ছাড়া অথবা বেগুনের সাথে আলু দিয়ে তৈরি করা যায়।
এবার দেখে নেওয়া যাক "ভোলা মাছ ও বেগুনের" কী কী উপকারিতা রয়েছে:
ভোলা মাছ শুধু সুস্বাদুই নয় স্বাস্থ্যের দিক থেকেও নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর।
১. ভোলা মাছ প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। যা শরীরের পেশি গঠনে সহায়তা করে।
২. এই মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্যে করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৩. ভোলা মাছে থাকা ক্যালসিয়াম ও আয়রন দাঁত ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখে।
৪. এছাড়াও এতে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন যেমন - ভিটামিন এ, ডি, বি-১২। যা চোখ, ত্বক ও মস্তিষ্ক ভালো রাখে।
৫. বেগুনে রয়েছে ডায়েটারি ফাইবার, যা খাদ্য দ্রুত হজমে সহায়তা করে। এছাড়া আছে ভিটামিন সি, কে, বি-৬ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
উপসংহার:
"ভোলা মাছের ঝাল" রেসিপি একটি সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও ঘরোয়া রান্না। এই মাছে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন ও বিভিন্ন খনিজ উপাদান ও বেগুনে রয়েছে ফাইবার যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই রোজকার খাদ্য তালিকায় এই মাছ রাখলে শরীর গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান গুলির চাহিদা অনেকটা পুরণ হবে। বেগুন ও সরষে বাটায় তৈরি এই রেসিপি সম্পর্কে ওপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ঝটপট সহজ পদ্ধতিতে তৈরি এই রেসিপিটি শিখে নিন এবং বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন।
ভালো খান ও সুস্থ থাকুন। আজকের মতো এই পর্যন্ত, আবার আগামীকাল কথা হবে নতুন একটি রেসিপি নিয়ে। নমস্কার।

