মিস্টি দই রেসিপি: ঘরে বসেই তৈরি করুন স্বাদে গন্ধে ভরপুর মিস্টি দই।

 মিস্টি দই রেসিপি: 

মিস্টি দই বাংলার একটি জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন, যা দুধ ও চিনির সহজ মিশ্রণে তৈরি হয়। এই দই নরম, মিষ্টি এবং সুগন্ধিযুক্ত হওয়ায় সব বয়সের মানুষের কাছে প্রিয়। বিশেষ করে পুজো-পার্বণ, জন্মদিন বা যে কোনো উৎসবের মেনুতে মিস্টি দই থাকবেই। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা শিখবো কিভাবে মিস্টি দই রেসিপি অনুসরণ করে সহজেই ঘরে তৈরি করতে পারি এই সুস্বাদু দই।  



উপকরণ: 

  • ফুল ক্রিম দুধ – ১ লিটার  
  • চিনি – ৪-৫ টেবিল চামচ (স্বাদ অনুযায়ী কম-বেশি)  
  • দইয়ের ব্যাকটেরিয়া বা টক দই – ১ টেবিল চামচ  
  • এলাচ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ (অপশনাল)  
  •  কিসমিস ও বাদাম – গার্নিশিং এর জন্য  

প্রস্তুত প্রণালী:  

দুধ ফুটানো  

  •  একটি পাত্রে ১ লিটার দুধ নিয়ে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিন।  
  • দুধ ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে নিন এবং নিয়মিত নাড়তে থাকুন যাতে দুধ পাত্রের তলায় লেগে না যায়।  
  •  প্রায় ১৫-২০ মিনিট জ্বাল দিয়ে দুধ গাঢ় করুন (দুধের পরিমাণ প্রায় অর্ধেক হয়ে আসবে)।  

চিনি মেশানো  

  • দুধ গাঢ় হয়ে এলে এতে ৪-৫ টেবিল চামচ চিনি ও এলাচ গুড়ো  যোগ করুন।  
  •  ভালোভাবে নাড়ুন যাতে চিনি সম্পূর্ণভাবে মিশে যায়।  
  •  চিনি মেশানোর পর আরও ৫ মিনিট জ্বাল দিন এবং তারপর গ্যাস বন্ধ করুন।  

 দই জমানো

  •  দুধ হালকা গরম থাকতে থাকতেই (হাত দিয়ে ছোঁয়া যায় এমন তাপমাত্রায়) এতে ১ টেবিল চামচ টক দই বা দইয়ের ব্যাকটেরিয়া মিশিয়ে দিন।  
  •  ভালো করে নাড়ুন যাতে দইয়ের ব্যাকটেরিয়া সমস্ত দুধে ছড়িয়ে পড়ে।  
  •  এবার এই মিশ্রণটি একটি মাটির বা স্টিলের  বাটিতে ঢেলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন।  

  • দই বসানোর জন্য গরম জায়গা প্রয়োজন। ওভেন বা রান্নাঘরের কোনও উষ্ণ স্থানে ৬-৮ ঘণ্টা রেখে দিন।  

  •  দই জমে গেলে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন।  

গার্নিশিং ও পরিবেশন 

  • ঠান্ডা মিস্টি দইয়ে কিসমিস, বাদাম কুচি ও  ছড়িয়ে দিন।
  •   মিস্টি দই তৈরির কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস:  
  • দুধ যেন খুব গরম অবস্থায় দইয়ের ব্যাকটেরিয়া না মেশানো হয়, তাহলে দই জমবে না।   

  • দই বসানোর সময় পাত্রটি ভালোভাবে কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন যাতে বাতাস না ঢোকে।   

  • বেশি মিষ্টি দই চাইলে চিনির পরিমাণ বাড়াতে পারেন।   
  • দই জমার পর ফ্রিজে রাখলে এর স্বাদ আরও বাড়বে। 
  •  মিস্টি দই এর উপকারিতা :  
  • প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ হওয়ায় হজমশক্তি বাড়ায়।   
  • ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের ভালো উৎস।   
  • টক দইয়ের চেয়ে মিস্টি দই শিশু ও বয়স্কদের জন্য বেশি পছন্দ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
sr7themes.eu.org